'প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার' স্লোগানকে ধারণ করে কাজ করছে বাংলাদেশ প্রবাসী নেটওয়ার্ক (বিপিএন)
বিপিএন এর কাজ
এটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মর্যাদা, ন্যায্য অধিকার এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিদেশে কাজ করা বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আরও ভালো সেবা, নিরাপত্তা, শ্রমের অধিকার এবং অন্যান্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এছাড়াও, প্রবাসীদের মর্যাদা রক্ষায় এবং তাদের পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দাবী জানানো এবং তা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে দেশি বিদেশী অংশীদারদের সাথে নিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে কাজ করবে এই প্রতিষ্ঠান।
-
0
Waiting Members
বাংলাদেশ প্রবাসী নেটওয়ার্ক (BPN) এর সদস্য হলে যে সুবিধা পাওয়া যাবে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থরক্ষা
– প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার সংরক্ষণ এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি।
– আন্তর্জাতিকভাবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইস্যুতে লবিং ও আওয়াজ তোলা।
নেটওয়ার্কিং ও কমিউনিটি বিল্ডিং
– অন্যান্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ।
– সামাজিক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও কার্যকরী সম্মেলনের আয়োজন।
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা
– প্রবাসীদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা, বিশেষত দেশে ফিরে আসার সময় বিশেষ ছাড়।
– শিক্ষাগত সুযোগ, বিশেষ করে প্রবাসী সন্তানদের জন্য।
আইনি সহায়তা
– প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আইনি পরামর্শ ও সহায়তা।
– কনস্যুলেট বা দূতাবাসে সাহায্য প্রাপ্তি।
বিশেষ ডিসকাউন্ট এবং সুবিধা
– ভ্রমণ, হোটেল, রেস্টুরেন্ট বা অন্যান্য সেবাতে ডিসকাউন্ট।
– বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ছাড়।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সহায়তা
– বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সুবিধা সম্পর্কে তথ্য প্রদান।
– আইনি সহায়তা, বিশেষত প্রবাসীদের জন্য জরুরি পরিস্থিতিতে।
– সরকারের উদ্যোগ ও স্কিমের সুবিধা গ্রহণ।

প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারের কাছে আমাদের ১৩ দফা দাবি
- দক্ষ কর্মী বিদেশে পাঠানো নিশ্চিত করা এবং সকল কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারিকুলাম বিদেশে চাকরির জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরির উপযোগী করে নির্ধারণ করতে হবে।
- বিদেশ যাওয়ার খরচ কমিয়ে এক লাখ টাকার মধ্যে আনতে হবে।
- দালালি ও মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা।
- প্রবাসীরা দেশে ফেরার পর তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
- প্রবাসীদের জন্য পেনশন সুবিধা চালু করতে হবে। এবং বিদ্যমান বিমা সুবিধার আওতায় অসুস্থতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
- দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও অফিসে প্রবাসীদের জন্য আলাদা বুথ চালু করতে হবে। যাতে খুব সহজে ও অল্প সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
- বিদেশে প্রবাসী কর্মীদের আইনি সহায়তা প্রদান করতে হবে, বিশেষত চুক্তি লঙ্ঘন, বৈষম্য বা অন্য যেকোনো সমস্যা মোকাবেলায় প্রতিটি দূতাবাসে লিগ্যাল উইং শক্তিশালী করতে হবে।
- বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে জনবল বৃদ্ধি করতে হবে। দূতাবাসে প্রবাসীদের হয়রানী বন্ধ করতে হবে এবং দ্রুত সময়ে প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
- প্রবাসী পরিবার ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এবং তাদের সন্তানদের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলাদা আসন সংরক্ষণ করতে হবে।
- প্রবাসীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে যারা প্রবাসীদের নাম দিয়ে ব্যাংকের অনুমোদন নিয়েছে।
- একুশে পদকের ন্যায় প্রতি বছর প্রবাসী পদক চালু করতে হবে।
- গণভবন জাদুঘরে প্রবাসীদের জন্য আলাদা কর্নার রাখতে হবে। জুলাই আন্দোলনে প্রবাসে গ্রেফতার ও সামাজিক মাধ্যমে ভূমিকা রাখা প্রবাসীদের নাম ও ছবি সংরক্ষন করতে হবে।
- ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সেবার আওতা বৃদ্ধি করতে হবে। যেমন- প্রতিবন্ধী ভাতা এক হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার করতে হবে। চিকিৎসা সহায়তা দেড় লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা করতে হবে।